logo
  • বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে যা প্রয়োজন, তা করব: প্রধান উপদেষ্টা 
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা সরকার করবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপি নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। সরকারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান অংশ নেন। বিএনপি নেতারা প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন, যাতে বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে আগের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কেউ এবার দায়িত্ব না পান। প্রশাসনের রদবদলে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বানও জানান তারা। প্রধান উপদেষ্টা জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে প্রশাসনের রদবদল তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে হবে। জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করে উপযুক্ত স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে যিনি শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবেন, সেরকম কর্মকর্তাকেই আমরা বেছে নেব। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।” বৈঠকে বিএনপি নেতারা পুলিশের নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এসব ঘটনার পেছনে অন্তর্ঘাত আছে কিনা, তা অনুসন্ধানের আহ্বান জানান। চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
১১ ঘণ্টা আগে

আমীর খসরু / শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অপরাধীদের বিচার করা হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, "শুধু শেখ হাসিনা নন, আওয়ামী লীগের বাকি অপরাধীদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।" তিনি জানান, নবনির্বাচিত সরকার এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিচার হবে। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, "আইনি বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকার পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা অপরাধ করেছেন, তাদেরকে আইনের মুখোমুখি দাঁড়াতেই হবে।" তিনি আরও বলেন, "একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় আস্থা থাকলে নির্বাচন নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করা উচিত নয়।" আমীর খসরু দাবি করেন, নতুন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বদলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে। তিনি বলেন, "অপরাধী যেই হোক, তার বিচার হবে। সরকার পরিবর্তন মানেই বিচার থেমে যাবে না।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপি গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের পক্ষে রয়েছে। এজন্য তারা বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বদলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তির নিশ্চয়তা দিতে চায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকার পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া বিএনপির ভবিষ্যৎ নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ধরনের বক্তব্যকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন এক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে পুরনো অপরাধের বিচার এবং নতুন সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাগতিক /এস আই
০৫ মার্চ ২০২৫, ১৫:২৫

বিএনপি প্রতিনিধিদলের ডেভিড বিসলির ও রবার্ট ডেস্ট্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধি ব্যারিস্টার জায়মা রহমান যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট আয়োজক ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ও সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর ডেভিড বিসলিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। ডেভিড বিসলির রিপাবলিকান গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি। তিনি জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০২০ সালে সিরিয়া, ইয়েমেন ও আফগানিস্তানে মানবিক সাহায্য দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। রোহিঙ্গা সংকটের সময় তিনি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। বিএনপি প্রতিনিধিদল আরও যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস এবং লেবার বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট এ. ডেস্ট্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। রবার্ট এ. ডেস্ট্রো বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের ট্রানজিশন টিমের সঙ্গে কাজ করছেন এবং তিনি একজন মার্কিন আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা এবং মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার আইন নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি। এ সাক্ষাৎগুলোতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাগতিক /এস আই
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৮
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়